আবু বক্কর সিদ্দিক খান-এর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিবাহ, আর্থিক দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অপব্যবহারের অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃজাহিদুর রহমান
নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক খান দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
৫ই আগস্টের আগে ও পরে আবু বক্কর সিদ্দিক খান আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক করে এলাকায় অপকর্ম করে যাচ্ছিল এবং নিজেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্কদের গোপনে বিবাহ করিয়া আসছিল কিছু দিন আগে এক ছেলে ও এক মেয়েকে জোরপূর্বক/চাপে ফেলে বিবাহ করিয়ে দেন। বিয়ের বিনিময়ে উভয় পক্ষ থেকে মোট ২ লক্ষ টাকা আদায় করেন বলে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এমন নিউজ পোর্টালে নিউজ হয় এই আবু বক্কর সিদ্দিক বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ অভিযোগ দিতে চায় না বা মুখ খুলে না।
বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী সাহেব কিছুই জানেন না বলে উত্তর দিয়েছেন অথচ কাজীর ঘনিষ্ঠ জন পাকুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুবেল হোসেন প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানে উল্লেখ করেন যে, বর ( মিজান ) শামসুল ইসলামের পালিত সন্তান এবং ভূমিহীন। কনের পিতা উক্ত বরের সাথে মেয়ে বিয়ে দিবে না। কাজেই উপরোক্ত বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য কাজী সাহেব উভয় পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করে বরের পিতাকে দিয়ে বরের নামে বাড়ি এবং জমি লিখে দিয়ে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করেন ।গত ২৫- ০৭ – ২০২৫ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সানজিদা আক্তার ( ১৫) পিতা – মোঃ শহীদুল ইসলাম , গ্রাম – রাথুরা একই ইউনিয়নের মোঃ মিজানুর রহমান ( ১৭) পিতা – মোঃ শামসুল ইসলাম , গ্রাম – আউটপাড়ার বাল্যবিবাহের মাধ্যমে ।
দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় অজস্র বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করে মোটা টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিত্তবান বনে গেছেন ।
বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গত ২৫ – ০৭ – ২০২৫ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার বাল্যবিবাহের মাধ্যমে । কাজী আবুবকর সিদ্দিক খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নিজেই নিজেকে প্রত্যক্ষ দোষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন ।সরেজমিন তদন্তে দেখা যায় – পাকুটিয়া ইউনিয়নের আউটপাড়া জামে মসজিদে দীর্ঘ দিন যাবৎ মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন । গত এক বছর যাবৎ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন । এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সাধারণ সম্পাদকের দাপট খাটিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন ।
শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত আক্রোশে সাংগঠনিক পদের দাপট এবং অবৈধ টাকার বিনিময়ে উপরের নেতাদের করায়ত্ত করে ইউনিয়ন বিএনপির দুই জন সহ সভাপতি , একজন ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতিকে বহিষ্কার করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি ।
রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার ও দুর্নীতি আবু বক্কর সিদ্দিক খান তার ইউনিয়ন বিএনপি পদ ব্যবহার করে এর আগেও বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড সমাজে অরাজকতা তৈরি করছে এবং রাজনৈতিক দলসমূহের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।