[video width="360" height="360" mp4="https://www.sangbaddrishti.online/wp-content/uploads/2025/07/AQMJo8pj5Pkn_pPspVPq17PnU6t8VwnAvZpo4pD6W4Yuk7Ss-sihCGSD8uBaDP5BArcJN7bQjLmTouOMYosP7clQ-cQAFCsR4Avi7oYglA-1.mp4"][/video]
বিবরণী: ঢাকার ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে উত্তাল বুয়েট – ঘটনাপ্রবাহ, প্রতিক্রিয়া ও বিচারের দাবি
সম্প্রতি পুরান ঢাকার একটি বাসায় বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর পরিবারকে লক্ষ্য করে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডে দেশের অন্যতম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) জুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা ও প্রতিবাদ। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বুয়েটের ইইই বিভাগের ছাত্র ফারদিন নূর পরশের বাবা, যিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। এই নির্মম ঘটনাটি গোটা সমাজে যেমন আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তেমনি শিক্ষাঙ্গনে ন্যায়বিচারের দাবিতে উত্থাপন করেছে নতুন ঢেউ।
ঘটনার বিবরণ:
ঘটনার দিন পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ফারদিনের পারিবারিক বাসায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে তাঁর বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং পরিবারের আরও সদস্যদের আহত করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত এবং ব্যক্তিগত শত্রুতা বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব হতে পারে। যদিও এখনো বিস্তারিত তদন্ত চলছে, তবে নিরাপত্তা হেফাজতে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া:
ফারদিনের সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় শোকাহত ও ক্ষুব্ধ। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একাধিক মানববন্ধন, মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি:
- দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
- নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
- ফারদিনের পরিবারের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
- হত্যার পেছনে যদি কোনো রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী শক্তি জড়িত থাকে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে?
এই প্রশ্নের উত্তর এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা যায়:
- ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা
- সম্পত্তিগত বিরোধ বা পারিবারিক শত্রুতা
- প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চাঁদাবাজি বা দখলদারিত্বের রাজনীতি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা ঘটনাটি সব দিক থেকেই খতিয়ে দেখছে এবং ইতোমধ্যে কিছু প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
কী বিচার হওয়া উচিত?
এই ধরনের ঘটনায় শুধু একজন ব্যক্তির জীবন হারানোই নয়, গোটা সমাজের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি কেঁপে ওঠে। তাই:
- হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
- এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যদি কোনো প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকে, তবে তাদেরও প্রকাশ্যে এনে বিচার করতে হবে।
- বিচারপ্রক্রিয়া যেন দীর্ঘসূত্রতায় না পড়ে, তার জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল বা দ্রুত বিচার আদালতের আওতায় নেওয়া যেতে পারে।
- ফারদিন ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা, আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
উপসংহার:
এই হত্যাকাণ্ড কেবল একটি পারিবারিক বা ব্যক্তি পর্যায়ের ক্ষতি নয়; এটি বাংলাদেশের বিচার, নিরাপত্তা ও সামাজিক মূল্যবোধের ওপর এক বড় আঘাত। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ শুধু ফারদিনের বাবার জন্য নয়, এটি গোটা দেশের সকল নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এক আওয়াজ। এখন প্রয়োজন দ্রুত, নিরপেক্ষ ও কার্যকর বিচার – যাতে এমন নির্মমতা আর কোনো পরিবারের ভাগ্যে না ঘটে।
প্রয়োজনে আমি এই বিবরণীর সংক্ষিপ্ত বা সংবাদ আকারেও প্রস্তুত করতে পারি।